নেত্রকোনা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 ভালবাসার গোলাপ ৭০ টাকা 

সৌন্দর্যের প্রতীক ফুল। আর এই ফুলকে ভালোবাসে না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। ভালোবাসা ভালোলাগার সঙ্গে ‘ফুল’ নামক উপকরণটা অঙ্গাঙ্গীভাবেই জড়িত। “বিশ্ব ভালোবাসা দিবস” বা “ভ্যালেন্টাইন ডে” সারাবিশ্বের কোটি কোটি প্রেমিকযুগলের জন্য পরম আকাঙ্ক্ষিত একটি দিন।ভালোবাসা দিবসকে রাঙাতে কতোই না আয়োজনের কথা ভাবেন যুগলরা। যার মূল অনুসঙ্গ রঙ-বেরঙের ফুল।
তাই এই ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে কয়েকগুন বেড়ে যায় ফুলের চাহিদা।১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ফুলের দোকান ছাড়াও অলিতে-গলিতে ফুলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন অনেকেই। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে উপলক্ষে মাত্র এক – দুই দিনের জন্য ফুল বিক্রেতা তারা। ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে যেহেতু বেড়ে যায় ফুলের চাহিদা তাই এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে ফুলের দাম কয়েকগুন বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা।
সরেজমিনে নবাবগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, অলি-গলিতে ফুলের পসরা সাজিয়ে ফুল বিক্রি করছেন অস্থায়ী ফুল বিক্রেতারা। ফুলপ্রেমী সব বয়সের মানুষেই ভিড় করছেন এসব দোকানে।অস্থায়ী এসব দোকানে মূলত গোলাপের চাহিদা থাকলেও গোলাপের পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে গাঁদা, জিপসি, গ্লাডিওলাস। উপজেলা মোড়ে স্থায়ী দোকানে ফুল কিনতে এসে দামাদামি করছিলেন মিমি নামের এক তরুণী।
ফুলের দাম অনেক বেশি এমন অভিযোগ জানিয়ে তিনি বলেন, এক একটা গোলাপ ফুল এরা বিক্রি করছে ৭০ টাকা করে। মানুষের চাহিদা দেখে এরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়াও রজনীগন্ধা, গ্লোসি, গাঁদা, বেলী ফুলের মালার দাম অনেকগুণে বেশি নিচ্ছে। এ বিষয়ে স্থায়ী ফুল বিক্রেতা সাহরিরার সুজন  বলেন, এ দিবসে ফুলের অনেক গুরুত্ব থাকে অনেক বেশি। তাই কিছু লাভের আশায় বন্ধুরা মিলে ফুল বিক্রি করছি।
এই দিনে সবাই একটু বেশি দামই রাখে। ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে রাস্তার মোড়ে ফুলের দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেছেন অনেকেই বেঁচাকেনাও চলছে খুব ভালো এমনটা জানিয়ে ফুল বিক্রেতারা বলেন, এই বেঁচাকেনা ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের সকাল থেকে আরও অনেকগুন চাহিদা বাড়বে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

 ভালবাসার গোলাপ ৭০ টাকা 

আপডেট : ০২:৩৮:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০
সৌন্দর্যের প্রতীক ফুল। আর এই ফুলকে ভালোবাসে না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। ভালোবাসা ভালোলাগার সঙ্গে ‘ফুল’ নামক উপকরণটা অঙ্গাঙ্গীভাবেই জড়িত। “বিশ্ব ভালোবাসা দিবস” বা “ভ্যালেন্টাইন ডে” সারাবিশ্বের কোটি কোটি প্রেমিকযুগলের জন্য পরম আকাঙ্ক্ষিত একটি দিন।ভালোবাসা দিবসকে রাঙাতে কতোই না আয়োজনের কথা ভাবেন যুগলরা। যার মূল অনুসঙ্গ রঙ-বেরঙের ফুল।
তাই এই ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে কয়েকগুন বেড়ে যায় ফুলের চাহিদা।১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ফুলের দোকান ছাড়াও অলিতে-গলিতে ফুলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন অনেকেই। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে উপলক্ষে মাত্র এক – দুই দিনের জন্য ফুল বিক্রেতা তারা। ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে যেহেতু বেড়ে যায় ফুলের চাহিদা তাই এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে ফুলের দাম কয়েকগুন বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা।
সরেজমিনে নবাবগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, অলি-গলিতে ফুলের পসরা সাজিয়ে ফুল বিক্রি করছেন অস্থায়ী ফুল বিক্রেতারা। ফুলপ্রেমী সব বয়সের মানুষেই ভিড় করছেন এসব দোকানে।অস্থায়ী এসব দোকানে মূলত গোলাপের চাহিদা থাকলেও গোলাপের পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে গাঁদা, জিপসি, গ্লাডিওলাস। উপজেলা মোড়ে স্থায়ী দোকানে ফুল কিনতে এসে দামাদামি করছিলেন মিমি নামের এক তরুণী।
ফুলের দাম অনেক বেশি এমন অভিযোগ জানিয়ে তিনি বলেন, এক একটা গোলাপ ফুল এরা বিক্রি করছে ৭০ টাকা করে। মানুষের চাহিদা দেখে এরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়াও রজনীগন্ধা, গ্লোসি, গাঁদা, বেলী ফুলের মালার দাম অনেকগুণে বেশি নিচ্ছে। এ বিষয়ে স্থায়ী ফুল বিক্রেতা সাহরিরার সুজন  বলেন, এ দিবসে ফুলের অনেক গুরুত্ব থাকে অনেক বেশি। তাই কিছু লাভের আশায় বন্ধুরা মিলে ফুল বিক্রি করছি।
এই দিনে সবাই একটু বেশি দামই রাখে। ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে রাস্তার মোড়ে ফুলের দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেছেন অনেকেই বেঁচাকেনাও চলছে খুব ভালো এমনটা জানিয়ে ফুল বিক্রেতারা বলেন, এই বেঁচাকেনা ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের সকাল থেকে আরও অনেকগুন চাহিদা বাড়বে।